সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম
সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম #30minuteeducation |
#30minuteeducation
Published Date: 24/06/2021
এইচ এস সি পরিক্ষা ২০২১ ভাই -বোন দের জন্য কিছু টিপসঃ-
আমরা এখনো অনেকেই জানিনা যে সৃজনশীল কিভাবে লিখলে ভাল মার্কস পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু এখন তোমাদের পুরো ৭০ মার্কস-ই সৃজনশীলে। তাই আমি মনে করি সৃজনশীল লিখার মেথডটা আমাদের জানা উচিত।
দেখা যায় ৭ টা সৃজনশীল আসার পর আমরা অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তরও করতে পারিনা এর একমাত্র কারন হচ্ছে নিয়মের বাহিরে যেয়ে লিখা।
যার কারনে দেখা যায় প্রথমে অনেক বড় বড় করে লিখে লাস্টে এসে টাইম থাকেনা। এজন্য প্রথমেই আমাদেরকে আগে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে নিতে হবে।
আমরা প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট করে নিবো।
লালসালু উপন্যাসের MCQ বিষয়ে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..
👇👇👇👇
(গ) ৬ মিনিট এবং
(ঘ) ৯ মিনিটে।
আর লিখার দৈর্ঘ্যটা হবে ক+খ এর জন্য প্রথম পেজ অর্থাৎ এক পৃষ্ঠা। গ হবে এক পৃষ্ঠা+অপর পৃষ্ঠার অর্ধেক।
আর ঘ হবে ওই পৃষ্ঠা শেষ করা এবং বাকি আরেক পৃষ্ঠা। মোটকথা একটা সৃজনশীল এর জন্য দুই পাতার বেশী কোনোভাবেই নেয়া যাবেনা।
অনেকে বলেছো যে লাইন হিসেব করে লিখবো কিনা। তাদেরকে বলবো না লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
এমন কোনো টিচার নেই যার কিনা টাইম আছে তুমি কত লাইন লিখলা তা গুনে দেখার।
তাই বলবো লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
তোমরা কি জানো সৃজনশীলে ভাল মার্কস কিসের ওপর ডিপেন্ডেন্ট!!!
বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..
👇👇👇👇
২. তোমার লিখার কোয়ালিটি (সুন্দর হাতের লিখা)
৩. সবার শেষে যেটি দেখে তা হলো তুমি কতটুকু লিখলা (আমি বানিয়ে বেশী লিখার কথা বলিনি কিন্তু, প্রয়োজনীয় পরিমানে লিখার কথা বলছি)
যাক এতক্ষণ আমরা লিখার সাধারন নিয়মগুলো বললাম।
এবার আমরা আসি ক+খ+গ+গ আমরা কিভাবে লিখবো।
#ক
আমরা জানি এটা হলো জ্ঞানমূলক প্রশ্ন। যাতে ১মার্কস। তুমি এখানে শুধু জ্ঞানটা লিখতে পারলেই শিক্ষক তোমাকে ১ দিতে বাধ্য।
সেটা যদি এক শব্দেও লিখতে পারো তাহলেও। অনেকে আছে ১ মার্কসের জন্য লিখে ২-৩ লাইন।
নো নিড।
#খ :
এটা হচ্ছে অনুধাবনমূলক। মার্কস ২। এটা লিখার পার্ট হবে ২ টা।
একটা পার্ট হলো জ্ঞানের আর অপর পার্টটা হলো অনুধাবনের।
তুমি যদি এর একটা লিখতে পারো বাকিটা না হয় তাইলে তুমি ১ মার্কস পাবে।
পুরো ২ পাবেনা। যার দুটি পার্ট ই হবে সেই শুধু পুরো ২ পাবে। এই পার্ট দুটো কিন্তু আলাদা করে লিখতে হবে।
প্রশ্নে যেটা বলবে ওটার উত্তরটা শুধু ১ লাইনে লিখবা এটাই জ্ঞান।
আর অনুধাবনে এসে তুমি যে জ্ঞানটা লিখলা এটাকে জাস্ট ৩-৪ লাইনে ব্যাখ্যা করবা। হয়ে গেলো দুটো পার্ট।
ঠিকমতো লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো ২।
ভাব-সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম বিষয়ে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..
👇👇👇👇
এটা হচ্ছে প্রয়োগমূলক। মার্কস হলো ৩। লিখতেও হবে ৩ টা পার্টে।
এবার আসি কিভাবে লিখবে এই ৩ টা পার্ট।
প্রথম পার্টটা হবে জ্ঞান। অর্থাৎ গ এ যা বলবে ওটার উত্তরটা জাস্ট একবাক্যে লিখে দিবে।
মনে করো প্রশ্নে থাকলো যে উদ্দীপকের রহিমের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের গল্পটির কার সাথে/কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য আছে।
এখানে জ্ঞানটা হবে উদ্দীপকের রহিমের সাথে গল্পের করিমের মিল রয়েছে। এটাই হলো জ্ঞান।
আচ্ছা এবার আসি গ এর অনুধাবন পার্টে এখানে এসে এমন কিছু কথা লিখবা যা তোমার গল্পেও নেই বা উদ্দীপকেও নেই কিন্তু দুটোই রিলেটেড।
এটা শুধু ২-৩ লাইনে লিখে ফেলবা। হয়ে গেল অনুধাবন।
শেষে হলো গ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখবা যে উদ্দীপকের করিমের সাথে তোমার গল্পের রহিমের কিভাবে মিল আছে।
আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
ব্যাস্ হয়ে গেল গ। প্রতিটি পার্ট তুমি সুন্দরভাবে লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো ৩
#ঘ :
এটা হলো উচ্চতর দক্ষতামূলক। যাতে মার্কস হলো ৪। পার্টও হবে ৪ টা।
প্রথম পার্টটা হলো জ্ঞানের। মানে প্রশ্নে যা থাকবে তা তুমি মেনে নিলেই হয়ে যাবে। মনে করো থাকলো যথার্থ কিনা/একমত কিনা।
তুমি শুধু মেনে নিবে বা না মনে হলে মেনে নিবেনা। উত্তরটা হবে উক্তিটি লিখে লিখবা যথার্থ/যথার্থ নয়। ব্যাস হয়ে গেলো জ্ঞান।
এবার আসি ঘ এর অনুধাবন। এখানে তুমি শুধু এমন কিছু কথা লিখবা যা উদ্দীপক/গল্পে/প্রশ্নে থাকবে না বাট এই রিলেটেড হবে।
হয়ে গেলো অনুধাবন। সাবধান গ এর অনুধাবনের কথাগুলো যেন রিপিট না হয়।
এবার ঘ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখাবা যে উদ্দীপকের সাথে তোমার গল্পটা কিভাবে মিল বা যথার্থ বা তুমি কেন একমত। আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
আমি এখানে যথার্থ/একমতের কথা বললাম এর মানে কিন্তু এই না যে সব প্রশ্নেই এটা থাকবে। যেখানে যা থাকবে ওখানে ওভাবেই লিখবা। শেষ হলো প্রয়োগ পার্ট।
সবশেষ পার্টটা হলো উচ্চতর দক্ষতার।
তোমরা হয়তো ভাবছো এটা অনেক বড় হবে তাইনা!!
কিন্তু না এটা হবে আরো সবার চেয়ে ছোট। মানে তুমি ৩ টা পার্টে কি লিখলা তার সমাপ্তি টানবা এখানে। যেমন বলবা যে অতএব বলতে পারি যে এই উক্তিটি যথার্থ। ব্যাস্ শেষ হয়ে গেলো।
এভাবে তুমি যদি সবগুলো প্রশ্ন পার্ট বাই পার্ট লিখতে পারো টিচার তোমাকে মার্কস দিতে বাধ্য।
তবে তোমরা মনে রাখবে প্রত্যেকটা প্রশ্নেরই জ্ঞানটা ঠিক লিখবে কারন শিক্ষক খাতা দেখার সময় তোমার সবগুলো উত্তর পড়ে দেখবে না।
সে দেখবে যে স্টুডেন্ট জ্ঞানটা ঠিকমতো লিখতে পারলো কিনা। যদি দেখে যে সঠিক লিখছে তাহলে ওটার ওপর ডিপেন্ড করেই মার্কস দিয়ে দিবে।
অনেকে বলতে পারো, এতো কিছু কি মেইনটেইন করে লিখা যায় নাকি!! বা অনেকে বলতে পারো প্রথমটা এরকম লিখলে লাস্টে আর নিয়ম মেনে লিখতে পারিনা।
আমি তোমাদেরকে বলবো, শোনো ভালো মার্কস পেতে হলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। নিয়ম মেনে লিখতে হবে।
তাহলেই শুধু ভাল মার্কস পাবে তুমি। আর এখানেই ভাল এবং খারাপ স্টুডেন্টের পার্থক্য।
সবাই তো গধবাঁধা লিখে যায়। কয়জন-ই বা সুন্দর করে সবগুলা গুছিয়ে লিখতে পারে।
এইভাবে লিখলে শিক্ষক তোমাকে আলাদাভাবে জাজ করতে বাধ্য থাকবে ইনশাআল্লাহ।
Hello Viewers,
You can check it out here another English Grammar link ...👇👇👇👇👇
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#Muktar_Hossain
Thank You,,,,
সবার জন্যে শুভ কামনা...👍👍
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.