Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Expressionist Writing Rules | ভাব-সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম | 30minuteeducation


Expressionist Writing Rules



 #বাংলা ২য় পত্র

#টপিকঃ- #ভাব-সম্প্রসারণ



expressionist writing rules #30minuteeducation
expressionist writing rules #30minuteeducation

#30minuteeducation
Published Date: 4/11/2020



👉চিন্তাশীল কবি-সাহিত্যিকদের কোনো কোনো উক্তির মধ্যে গভীর ভাব নিহিত থাকে। ব্যাখ্যার মাধ্যমে এ ভাবকে সহজবোধ্য করে তোলার নামই ভাব-সম্প্রসারণ।


👉ভাবের শিল্পসম্মত প্রসারণই ভাব-সম্প্রসারণ। নানা তথ্যে, ভাব তাৎপর্যে, ও ইঙ্গিতের মধ্যে লুকায়িত কোনো বিষয় বিস্তৃতভাবে সহজবোধ্য করে প্রকাশ করাই ভাব-সম্প্রসারণের প্রধান উদ্দেশ্য।



 লালসালু উপন্যাসের MCQ বিষয়ে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..

👇👇👇👇

লালসালু  MCQ




👉সাধারণত কবিতার পঙক্তি, স্তবক কিংবা গদ্যের অংশবিশেষ, কোনো মনীষীর উদ্ধৃতি কিংবা প্রবাদ-প্রবচন ভাব-সম্প্রসারণের জন্য দেওয়া হয়।


আর এ ক্ষুদ্র অংশের আড়ালে থাকে মানবজীবনের গভীর অভিব্যক্তি, মানবতার কথা, নৃশংসতার কথা, সামাজিক বৈষম্যের কথা, ব্যাক্তির স্বার্থপরতার কথা, সংসার জীবনের নানা অসংগতির কথা, নানা ক্রুটি-বিচ্যুতি, সমাজ রাষ্ট্র অথবা বিশ্বশান্তির কোনো বার্তা।


 ভাব-সম্প্রসারণের বক্তব্যকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তি-তর্ক, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, দৃষ্টান্তসহ বস্তুনিষ্ঠ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করাই মূল কাজ।  


কবি বা লেখক তার সৃষ্টির প্রয়োজনে সামান্য অংশে নানা উপমা, অলংকার ব্যবহার করতে পারেন; আকর্ষণীয় করার প্রয়োজনেই বক্তব্যকে নাটকীয় ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, সংলাপ থাকতে পারে, 



বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..

👇👇👇👇

Bengali Literature History



এমনকি প্রশ্নেরও অবতারণা থাকতে পারে, থাকতে পারে শব্দ ও বাক্য ব্যবহারে যথেষ্ট মুনশিয়ানা; এর ফলে সহজেই সেই বক্তব্যকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। 


তাই মূল বিষয়টিকে আবিষ্কার করে প্রয়োজনীয় যুক্তির সাহায্যে ব্যাখ্যা, বিচার-বিশ্লেষণ, উদাহরণ কিংবা দৃষ্টান্তসহ নিজস্ব অভিমত সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করতে হয়।  

এ প্রসঙ্গে নিচের উদাহরণ থেকে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যেতে পারে–



 প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন

 ফুটিয়েছে ছোটো ফুল অতিশয় দীন।

 ধি্ক-ধি্ক করে তারে কাননে সবাই, 

 সূর্য উঠি বলে তারে, ’ভালো আছো ভাই’,?




বাংলা উচ্চারণের নিয়ম জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন..

👇👇👇👇

বাংলা উচ্চারণের নিয়ম




এখানে ’ছোটো ফুল’, ’কানন’,  ‘সূর্য’, তিনটিই রূপক। কবি রূপকের আড়ালে অন্য কোনো ভাবের কথা ব্যক্ত করেছেন। 


কাননে অর্থাৎ ফুলের বাগানে সমস্ত ফুল কোনোক্রমেই ‘ছোটো ফুলটিকে’ তাদের সমগোত্রীয় বলে মেনে নেয় না; পক্ষান্তরে, ‘সূর্য’ নির্দ্বিধায় ভাই বলে ছোটো ফুলটিকে সম্ভাষণ জানায়। ‘সূর্যের’ মধ্যে কবির মূল বক্তব্যটি লুক্কায়িত।  


আসলে কবি সূর্যের রূপকের অন্তরালে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, উদার, মহৎ ও আলোকিত মানুষের কথাই বলেছেন। আর এ অংশের ভাব-সম্প্রসারণ এ ধরনের মানুষকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করতে হয়।


 

*অন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে — ‘অসি অপেক্ষা মসি বড়’ । – বাক্যটির ছোট পরিসরের মধ্যে বিরাট ভাব রয়েছে। 

তবে অবশ্যই ব্যবহৃত শব্দগুলোর আভিধানিক অর্থ জানতে হবে। 


যেমন– অসি অর্থ তরবারি, অন্যদিকে মসি অর্থ লেখার জন্য কালি; অর্থাৎ তরবারির চেয়ে লেখনী অধিক শক্তিমান। এখানে লেখনী অস্ত্রকে সবচেয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।  এ দিক বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।        


*ভাব-সম্প্রসারণে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দের আভিধানিক অর্থ জানতে হবে। 




You can check  out here another English Grammar link ...

👇👇👇👇👇👇


1.Rules of Modifier


2.Simple, Complex & Compound





👉ভাব-সম্প্রসারণ লেখার প্রয়োজনীয়তাঃ- 


* যেকোনো সংক্ষিপ্ত, যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা অর্জিত হয়। 


* ভাব প্রকাশে ভাষা চর্চার আবশ্যকতা রয়েছে–তা অনুধাবন করা যায়। 


* সংক্ষিপ্ত বিষয় থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। 


* কোনো বিশেষ বক্তব্য থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৌশল রপ্ত করা যায়। 


* অপেক্ষাকৃত কঠিন কথাকে সহজ করে বলার যোগ্যতা অর্জিত হয়। 




👉 ভাব-সম্প্রসারণ লেখার নিয়মঃ- 


* উদ্ধৃত অংশ বা তাৎপর্যপূর্ণ বাক্যটি গভীর মনোযোগে বারবার পড়তে হবে এবং মূল ভাবটুকুতে যা গোপন রয়েছে তা বুঝে নিতে হয়। 


বিষয় বুঝতে পারলে সহজেই ভাব-সম্প্রসারণ করা যায়। 


* কোনো উপমা, রূপক, প্রতীক, কিংবা সংকেতের আড়ালে মূল ভাবটি ঢেকে আছে কি না তা বুঝার চেষ্টা করতে হয়। 


* ভাব-সম্প্রসারণে বক্তব্যকে প্রাঞ্জল করার প্রয়োজনে উপমা, দৃষ্টান্ত, যুক্তি, এবং প্রাসঙ্গিক যেকোনো ঐতিহাসিক, পৌরাণিক, লৈখিক অথবা বৈজ্ঞানিক তথ্য উল্লেখ করা যায়। 


* ভাব-সম্প্রসারণের সময় অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কথা এবং একই কথার পুনরাবৃত্তি পরিহার করতে হবে। কারণ এতে পাঠকের ক্লান্তি আসে এবং বক্তব্য নিরস হয়ে ওঠে। 


* সম্প্রসারিত ভাবের বিষয়বস্তুকে ছোটো ছোটো অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। 


তবে তা তিন-চার অনুচ্ছেদের মধ্যে হওয়া ভালো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তিন অনুচ্ছেদে এটি সম্পন্ন করা হয়। 


* ভাব-সম্প্রসারণে প্রদত্ত কবিতা বা পদ্য অংশের লেখকের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। এমনকি এক্ষেত্রে কবি বা লেখকের কোনো অভিমত বা অভিপ্রায় বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 


* প্রবাদ-প্রবচন যুক্তিসংগতভাবে ব্যবহার করা যাবে।   কোনো উদ্ধৃতি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই যেন তা প্রাসঙ্গিক হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।



| বাংলা ২য় পত্র |


If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.



Author,

#Muktar_Hossain


Thank you.


Post a Comment

0 Comments