Student of Life
# ছাত্রজীবনে এই ১০টা কাজ করা যাবে না #
Student of Life #30minuteeducation |
#30minuteeducationPublished Date:21/08/2020
১. ফেল করা যাবে না:✖✖
#30minuteeducation
Published Date:21/08/2020
সাবজেক্ট পছন্দ হোক বা না হোক। ভার্সিটি ভালো লাগুক বা না লাগুক, ফেল করা যাবে না।
অন্য সাবজেক্টে পড়ার ইচ্ছা থাকলে, সেটা অনলাইনে শিখো। অন্য কিছু করার খায়েশ হলে, নিজে নিজে চেষ্টা করো।
এখনকার দিনে এমন কিছু নাই যেটা ইন্টারনেট থেকে শিখা যায় না। সো, এইগুলাকে আজাইরা অজুহাত বানিয়ে ফেল করা যাবে না।
জাস্ট ক্লাসগুলাতে যতক্ষণ থাকবা, মনোযোগ দিয়ে শুনবা আর পরীক্ষার সময়টায় একটু সিরিয়াস থাকবা। তাহলেই আর যাই করো ফেল করবা না। 😤😤
২. অতিরিক্ত ইমোশনাল হওয়া যাবে না
চ্যাঁকা খাও, ব্যাঁকা হও। ধোঁকা খাও, বোকা হও। ক্রাশের প্রেম, ক্রাশের বিয়ে --যেটাই হোক।
টেক ইট ইজি।  ̄👥👥
কোন কিছুতেই লিমিটের বাইরে ইমোশনাল হওয়া যাবে না। লাইফে ইনজাস্টিসের শিকার তোমাকে হতেই হবে।
কেউ চাইলেই যেমন তোমাকে ভালোবাসতে পারে আবার চাইলেই তোমাকে ছেড়েও যেতে পারে। সেটা তার অধিকার, তার বিবেচনা, তার লাইফ।
তোমার লাইফ হচ্ছে-- রিলেশন এর বিষয়ে আবেগটা লিমিটের মধ্যে রাখা। কারণ, লাইফে রিলেশনের দরকার আছে। কিন্তু রিলেশন, লাইফের চাইতে বড় কিছু না।
| A Day In The Life Of College Student Essay |
৩. বাজে অভ্যাসে এডিক্টেড হওয়া যাবে না
লাইফটাকে লাইনে রাখার যদি দুইটা রাস্তা থাকে। তাহলে বেলাইনে যাওয়ার ২০টা রাস্তা আছে।
#ইন্টারনেট আছে।
#আশেপাশের দুস্টু ফ্রেন্ড আছে।
#ফেইক প্রোফাইলে থেকে রোমান্টিক ম্যাসেজের গন্ধ আছে।
# টিভিতে খেলা আছে।
#রুমে তাস আছে।
তাই কোন কিছুতে হারিয়ে যাওয়ার আগে দেখো- জিনিসটা কি।
বুঝো- how much is too much. মোটামুটি ধরে রাখবা- ইন্টারনেটে ৩০% এনজয় করবা আর ৭০% সময় কাজে লাগাবা।
৪. আজাইরা স্ট্রেস নেয়া যাবে না
শখ করে স্ট্রেস নেয়ার একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে। এই যেমন ধরো- পাশ করলে আমাকে কে চাকরি দিবে?
বাবা-মা আর ফ্যামিলির হাল কেমনে ধরবে। আমি তো ওদের মতো না। --
এই সব নিয়ে আজাইরা টেনশন করার যাবে না। ইনফ্যাক্ট, লাইফে কখনোই এমন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে যাবে না, যেটা নিয়ে তুমি এই মুহূর্তে কিছু করতে পারতেছো না।
শুধুমাত্র-- কিছু করতে পারলে, চিন্তা বাদ দিয়ে সেটা করো। নচেৎ তোমার যেটা করা উচিত সেটা করো। মাগার, বসে বসে টেনশন করবা না।
৫. অতীতের গ্লোরী নিয়ে বসে থাকবে না।
#তুমি আগে কি ছিলে।
#স্কুল কলেজে কি উল্টায় ফেলছিলা-- সেটা এখন আর কেউ গোনায় ধরবে না।
#কয় বছর গ্যাপ দিছো।
# কয়টা ভুল ডিসিশন নিছো--সেগুলা নিয়েও কারো আসবে যাবে না।
সো, সেগুলা সব ট্র্যাশ বিনে ফেলে দিয়ে-- সামনের দিকে তাকাও।
আজকের অবস্থা যতই গুবলেট মার্কা হোক না কেন--আজকে এই মহুর্ত থেকে কি করতে পারো সেটাতে ফোকাসে করো।
৫. ফ্রেন্ড বা ভার্সিটি লাইফ থেকে আলাদা হওয়া যাবে না।
স্টুডেন্ট লাইফটা ১০০% মাস্তির হবে না। আবার কাঠ খোট্টা সিরিয়াসও হবে না।
বরং সেমিস্টার গ্যাপে ৮০% মাস্তি আর ২০% স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আর পরীক্ষা চলে আসলে ৮০% স্টাডি আর ২০% রিলাক্স।
এই ব্যালেন্স স্টাইলে চিন্তা করলে--ভার্সিটি লাইফের ফানও হবে আবার ফিউচারও লাইনে থাকবে।
৬. টিটকারি এর রেসপন্স করা যাবে না।
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কিছু ফাজিল ফ্রেন্ড তোমাকে টিটকারি বা বুলিয়িং করতে পারে। সেক্ষেত্রে পারলে ইগনোর করো।
তুমি রেসপন্স করলে খেপে গেলে তারা মজা পেয়ে আরো বেশি করবে। তাই রেসপন্স না করার চেষ্টা করো।
তবে সীমার বাইরে চলে গেলে তখন-- ফ্যাকাল্টি বা পুলিশের কারো কাছে যেতে হবে। ফ্রেন্ড বা ক্লাসমেট হিসেবে সব কিছুতে পার পেয়ে যাবে না।
৭. কোন কিছুতেই ভালো না, এমন করা যাবে না ।
হয় তুমি পড়ালেখায় ভালো হবে। নচেৎ অন্য কিছুতে ভালো হবে। তবে এইটা আবার বইলো না যে- তুমি কিছু না করতে ভালো।
তাইলে তো আর হবে না, ব্রো। লাইফের ৪-৫ বছর কাটিয়ে দিবা অন্তত একটা কিছু নিবা না। তাইলেতো হবে না।
সো, পড়ালেখা সিরিয়াসলি করতে পারলে সেটাতে ফাটিয়ে দাও।
নচেৎ এক্সটা স্কিল বা কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস করে উল্টে ফেলো। এটলিস্ট কিছু একটা করো।
৮. মামা-খালু থেকে দূরে যাওয়া যাবে না।
পাশ করার পর শ্বশুর আব্বার অপশন না থাকলে- তোমার সিনিয়র ভাইয়া আপুরা, যারা তোমার পাশ করার আগেই চাকরি পেয়ে যাবে।
তাদের সাথে স্পেশাল খাতির রাখবে। যাতে ওদের কাছ থেকে ইন্টারভিউ টিপস এবং ওদের কানেকশন দিয়ে তুমি চাকরি পেয়ে যেতে পারো।
৯. যা ইনকাম করো সব খরচ করে ফেলা যাবে না ।
স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম কম। তবে এই কম ইনকামও শেষ করে ফেলা যাবে না।
মিনিমাম ২০% আলাদা একটা ব্যাংক একাউন্টে জমিয়ে রাখো। যেটার খবর তুমি ছাড়া কেউ জানবে না।
পাশ করার পরে বা কঠিন সময়ে এই অল্প কিছু টাকা যে কি পরিমান মেন্টাল সাপোর্ট দিবে- চিন্তাও করতে পারবে না।
১০. মন খারাপ করতে পারো হতাশ হয়ো না ।
লাইফে অনেক কিছুতেই মন খারাপ হতে পারবে। কিন্তু একদিনের মন খারাপ পরের দিনে টেনে নেওয়া যাবে না।
বরং কোনদিন খুব বেশি মন খারাপ হলে, গোসল করে সব মন খারাপ ধুয়ে ফেলবা। দরকার হলে সব মন খারাপ বাথরুমের কমোডে ফ্লাশ করে দিবা।
কারণ তোমার লাইফের প্রত্যেকটা দিন হবে এক একটা ফ্রেশ দিন। যেখানে আগের দিনের হতাশা, মন খারাপ তোমাকে পিছনে টেনে নিবে না।
বরং প্রত্যেকটা সুন্দর দিনে তোমাকে সামনের দিকে টেনে নিবে।
এইরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে Email দিয়ে Subscribe করে Follow করতে পারো।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে University Admission প্রয়োজনীয় টিপস & University Admission Exam questions দেওয়া রয়েছে। নিচে লেবেল থেকে দেখে নিতে পারেন।
সবার জন্য শুভ কামনা রইল♥………
2. সঠিক নিয়মে লেখাপড়া করার নিয়ম
3.How to Teach Your Child to Talk Nicely
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#Muktar_Hossain
Thank you....
পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.