Useful Life Hacks
Useful Life Hacks, Growth Hacking #30minuteeducation |
#30minuteeducation
Published Date: 25/09/2020
ধীরে চলো বৎস
চট করে মনে হতে পারে খরগোশ ভালো। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন কচ্ছপ ভালো। কারণ একলাফে ছুটে গিয়ে এগোতে পারলেও একটানা হেঁটে ধীরগতির কচ্ছপই সবসময় গন্তব্যে পৌঁছে যায় আগে।
আপনি হয়তো ভাবেন, আমার ব্রেনটা তো অত ভালো না। দেরিতে বুঝি। মনে থাকে আরো কম। অমুক তুখোড় মেধাবীদের মতো কি আমি পারবো? অভিনন্দন আপনাকে।
কারণ আপনিই পারবেন। সাধারণ মেধার বলেই আপনার পক্ষে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। আপনি কচ্ছপের মতো লেগে থাকতে পারবেন, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে লাভ করবেন সাফল্য।
আর তুখোড় মেধাবী হলেও অধ্যবসায় ছাড়া সফলতা লাভ সম্ভব নয়। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক মহামনীষী ইবনে সিনা।
চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে শুরু করে জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, ভূগোল, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান, সাহিত্য এবং ইসলামী শাস্ত্রসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সব শাখায়ই তিনি তার অবদান রেখেছেন।
অসাধারণ মেধা এবং স্মরণশক্তির জন্যে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই শিখে ফেলেন তার শিক্ষকদের সবকিছু। এরপর শুরু করেন বাইরের দুনিয়ায় যা আছে তা জানার চেষ্টা। কিন্তু নিজে পড়ে বোঝা এত সহজ হলো না।
এরিস্টোটলের মেটাফিজিক্স বুঝতে গিয়ে পড়লেন গভীর গাড্ডায়। একবার দুইবার করে ৪০ বার পড়ে ঝাড়া মুখস্থ হয়ে গেল। কিন্তু বুঝতে পারলেন না একবর্ণ। যখনই কঠিন কিছু বুঝতে পারতেন না, ইবনে সিনার অভ্যাস ছিলো মসজিদে চলে যাওয়া।
আরো পড়ুন....
2. সঠিক নিয়মে লেখাপড়া করার নিয়ম
3.How to Teach Your Child to Talk Nicely
অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে গভীর প্রার্থনায় ডুবে যেতেন।
মানুষের কল্যাণে যে জ্ঞান তিনি আয়ত্ত করতে চাচ্ছেন তা বোঝার সামর্থ্য যাতে পরম প্রভু তাকে দেন সেজন্যে। উঠতেন তখনই যখন মনে হতো প্রভু তার প্রার্থনা শুনেছেন।
এখানেও ব্যতিক্রম হলো না। হঠাৎ একদিন বাজারে গিয়ে খুঁজে পেলেন মেটাফিজিক্সের ওপর জ্ঞানের আরেক দিকপাল আল ফারাবীর ব্যাখ্যা সম্বলিত একখানা বই।
৩ দিরহাম দিয়ে সে বইটি কিনে ছুটতে ছুটতে ইবনে সিনা চলে এসেছিলেন মসজিদে প্রভুর কাছে শুকরিয়া জানাবার উদ্দেশ্যে।
বাবা-মা আমাকে বোঝে না
আমার বাবা-মা আমাকে বোঝে না, ভালবাসে না, আমার স্বাধীন বিকাশের পথে অন্তরায়, কঠিন নিয়ম-শৃঙ্খলার নিগড়ে বন্দি করে রেখেছে- বাবা-মাকে নিয়ে এরকম অভিযোগ আমরা অনেকেই করি।
অনেক সময় তা সঙ্গতও। তারা হয়তো তাদের চিন্তাটা সন্তানের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন বা নিজের অপূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে চাচ্ছেন তার চাওয়া বা পরিবর্তিত সময়ের কথা মাথায় না রেখে।
কিন্তু এই ক্ষোভের নিট রেজাল্ট কী? আরো ক্ষোভ, আরো ব্যর্থতা এবং আরো হতাশা। কাজেই ব্যাপারটাকে এভাবে দেখুন, বাবা-মা গ্রেটেস্ট হতে পারেন, কিন্তু আপনি হলেন লেটেস্ট।
লেটেস্টের দায়িত্ব যেহেতু বেশি, তাই বাবা-মা যদি আপনাকে বুঝতে না পারেন, বোঝানোর দায়িত্ব আপনার। তাদেরকে বোঝাতে হবে সেই ভাষায় যা তারা বোঝেন।
আর তা হলো শ্রদ্ধার ভাষা, মমতার ভাষা, ভালবাসার ভাষা- যে ভাষার কোনো জেনারেশন গ্যাপ নেই।
আর যদি এমন হয় সমবয়সী বা মিডিয়ার চাকচিক্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে আপনার এ চাহিদা এবং যা দেয়ার সামর্থ্য তাদের নেই- তাহলে তাদের প্রজ্ঞাকে আপনার মেনে নেয়া উচিত।
কেটে গেল আবারও অনেকদিন। নিঃসঙ্গ গাছটি এখনও অপেক্ষা করে প্রিয় বন্ধুকে দেখার আশায়। অনেকবছর পর এক মধ্যবয়সী পুরুষ এসে দাঁড়ালো গাছের নিচে। বললো সংসারের ধকল সামলাতে সামলাতে আমি ক্লান্ত।
মনটাকে চাঙ্গা করার জন্যে আমি এখন সমুদ্রে বেরিয়ে পড়তে চাই। কিন্তু আমার যে কোনো নৌকা নেই। গাছ বললো, ভাবনা কি বন্ধু। আমার কাণ্ডখানা নিয়ে যাও।
এটা দিয়েই নৌকা বানাতে পারবে তুমি। প্রাচীন গাছের বিশাল কাণ্ড ঠেলায় চাপিয়ে চলে গেল সে মধ্যবয়সী পুরুষ।
অনেক অনেক বছর পর লাঠিতে ভর করে ধীর পায়ে গাছের সেই জায়গায় এসে দাঁড়ালো বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এক বৃদ্ধ।
গাছটি আজ আর নেই। মৃতপ্রায় শেকড়ের একটা ঢিবি ছাড়া গাছের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
তবুও সে বলে উঠলো, এসেছ বন্ধু! কিন্তু তোমাকে দেবার মতো আমার যে আর কিছু নেই। ফল নেই, ডাল নেই, কাণ্ড নেই। কী দিয়ে তোমাকে আমি সেবা করবো বল?
বৃদ্ধ বললো, ওসব দিয়ে আজ আর আমার কোনো কাজ নেই। আমি এখন বৃদ্ধ অবসন্ন। বিশ্রামের একটু জায়গাই এখন আমার চাওয়া। গাছ বললো, বন্ধু বুড়ো গাছের মরা শেকড়ের চেয়ে ভালো বিশ্র্রামের জায়গা আর কী হতে পারে?
এস, ঠেস দিয়ে বসো। সব ভাবনা ভুলে নিশ্চিন্তে আরাম কর। বৃদ্ধ তাই করলো। অনেকদিন পর হাসলো নিঃসঙ্গ গাছ। কাঁদলোও। তবে এ কান্না আনন্দের। হারানো প্রিয়জনকে কাছে ফিরে পাবার খুশিতে।
এই শিশু থেকে বৃদ্ধে পরিণত হওয়া মানুষটিকে কি আপনার নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে? অকৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে? তাহলে মনে করে দেখুন তো আপনার মাকে কি আপনি কখনো ধন্যবাদ দিয়েছেন আপনাকে ধারণ,
লালন এবং পালনের খুঁটিনাটি কাজগুলো বছরের পর বছর ধরে অম্লান বদনে করে যাবার জন্যে? বাবাকে কি কখনো থ্যাংকস জানিয়েছেন কষ্টার্জিত উপার্জনে আপনাকে আজকের অবস্থান গড়ে দেয়ার জন্যে?
শাসনের আড়ালে স্নেহপূর্ণ মন নিয়ে আপনাকে সঠিক পথে নির্দেশিত করার জন্যে? হয়তো আপনি মনে করতে পারবেন না। কারণ মা-বাবা আমাদের জন্যে যা কিছু করেন আমরা ধরে নিই যে, এটা তো তাদের দায়িত্ব।
কিন্তু ভেবে দেখুন, এর যে কোনো একটি ক্ষেত্রেও যদি তারা দায়িত্বটি পালন না করতেন, কী অবস্থা হতো আপনার! কত অসহায় হয়ে পড়তেন আপনি!
আমি কি পারবো? ইউনিভার্সিটি অব কালগ্যারির অধ্যাপক পিয়ার্স স্টিল তার ১০ বছর গবেষণার ফল প্রকাশ করেন, দীর্ঘসূত্রিতার একটি প্রধান কারণ হলো ‘কাজটি আমি পারবো’ -এ বিশ্বাস করতে না পারা।
যখন একজন শিক্ষার্থী কোনো বিশেষ বিষয়ে নিজেকে দুর্বল মনে করে তখন সেটি শুরু করাটা তার জন্য চ্যালেঞ্জিং। যেমন লেখালেখির ব্যাপারে হয়তো আপনার মধ্যে জড়তা আছে।
| Growth Hacking |
| ধীরে চলো বৎস |
| Life Hacks |
এখন যদি এমন কোনো এসাইনমেন্ট থাকে যাতে নিজের আইডিয়াগুলোকে লিখে প্রকাশ করতে হবে, তাহলে আপনার মধ্যে গড়িমসি দেখা যাবে।
এক্ষেত্রে সমাধান হলো মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনার অবচেতন মনের ভয় বা অনিশ্চয়তাকে বের করে আনা।
সমস্যাগুলোকে শনাক্ত করুন। এবং সে আলোকে নতুন যোগ্যতা, দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করুন। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে এমন কারো সাথে যোগাযোগ করুন।
সবসময় মনে করবেন আপনার চেয়ে কম মেধার অনেক মানুষ যদি এটা পেরে থাকে আপনি কেন পারবেন না?
You can check out here another English Grammar link ...
👇👇👇👇👇👇
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#Muktar_Hossain
Thank You............
1 Comments
Fantastic your article
ReplyDeletePlease do not enter any spam link in the comment box.