হ্যাক হয়েছে মস্তিষ্ক!
পুলিশের দ্বারস্থ বাংলাদেশি যুবক
ইমেল, ল্যাপটপ বা ফোন নয়, একেবারে মস্তিষ্ক হ্যাকের অভিযোগ! সাইবার থানা পেল এমনই এক অভিযোগ।
এই
তোলপাড় বাংলাদেশের কক্সবাজার। যুবকের দাবি এটা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে
দেওয়ার চক্রান্ত
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ‘হ্যাকিং’ শব্দটা সবারই পরিচিত। বিভিন্ন সময়েই শোনা যায় ইমেল বা ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কথা।
কিন্তু তাই বলে ‘মস্তিক হ্যাকিং’ ! সেটাও কী হয়? এই নিয়েই বাংলাদেশের কক্সবাজারে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা।
তার ‘ব্রেন হ্যাক’ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বাসিন্দা হারুনুর রশিদ।
বছর ৩২-র হারুনুর এই সঙ্গেই আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন
সাইবার ট্রাইব্যুনালে।
হারুনুরের দাবি, তার ‘ব্রেনহ্যাক’ করে তার ব্যাঙ্কের ‘অ্যাকাউন্ট ক্লোন’ করে ২০ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তার ওপরে চলছে সাইবার টর্চার।
Read More Post: Whatsapp এ আসছে ৭ ধরনের পরিবর্তন
এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার মস্তিক
থেকে সব স্মৃতি মুছে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দুজনের বিরুদ্ধে
থানায় জিডি করেছেন তিনি।
হারুনের অভিযোগ, বছর তিনেক আগে শ্বশুরবাড়িতে তিনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন সেই সময়ে তাকে অচেতন করে তার মাথায় ছোট ইলেকট্রিক যন্ত্র (কম্পিউটার ডিভাইস) বা নিউরোচিপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
তার শ্যালিকার সাহায্যে হ্যাকাররা ইঞ্জেকশন দিয়ে ওই চিপ মাথায় ঢুকিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হারুনের দাবি, তার মাথায় ওই চিপ ঢোকানোর পরে তিনি পরিচিত কারওর গলা শুনতে পান। তাকে গালাগালি দেওয়া হয়।
এরপরেই তার আইফোনে নিজে থেকেই পাবজিসহ ৫টি গেমস ‘ডাউনলোড’ হয়। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এই
নিয়ে পরিচিতদের বলার পরে তারা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে শুরু করে। হারুন জানান,
তার পরিচিত একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে মোবাইলের বিষয়টি জানান তিনি। তারপরে অ্যাপল, গুগল
এবং ফেসবুক-এর কাছে পুরো বিষয়টি জানান তিনি।
তার দাবি, ‘ অ্যাপল আইডি হ্যাক করে আমার ফোনের আইটিউনসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে হ্যাকাররা। এটা বুঝতে পারার সঙ্গেসঙ্গেই থানায় জিডি করেছি। ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রথমে ট্রাইবুনাল ওই মামলাকে ভুয়ো এবং হাস্যকর বলে মামলা নিতে চায়নি।’ পরে তার কথা শোনার পর ট্রাইবুনাল মামলা গ্রহণ করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
হারুনের দাবি, একটি বিশেষ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে তার মাথায় নিউরোচিপের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। তিনি কোনও মোবাইল ফোন হাতে নিলেই তার শরীর কেঁপে ওঠে।
মোবাইলে থাকা সব তথ্য সেখান থেকেই
পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। বাংলাদেশে একটি বিদেশি ‘ব্রেন হ্যাকার চক্র’ সক্রিয় বলেও
দাবি তার।
মানুষের ব্রেনহ্যাক করা নিয়ে ২০১৩ সালের পরে আমেরিকার একাধিক আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা
জানিয়েছেন ‘ব্রেনহ্যাক’ সম্ভব। তবে, ব্রেন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও
গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
Read more post: উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া বিভক্ত হওয়ার ইতিহাস কী?
===================
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#muktarhossain
#30minuteeducation
#twolearning #muktarhossain #টুলার্নিং #two #learning #2learning
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.