Header Ads Widget

Responsive Advertisement

SSC 2022 Assignment 6th Week Hindu Religion | Class 10 Assignment Hindu Dhormo 6th Week Answer | Two Learning | 30minuteeducation


 এসএসসি ২০২২ হিন্দুধর্ম

এসাইনমেন্ট সমাধান


SSC 2022 Assignment 6th Week Hindu Religion | Class 10 Assignment Hindu Dhormo 6th Week Answer | Two Learning | 30minuteeducation


Two Learning

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা

২০২২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট


 

    বিষয়: হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা             বিষয় কোড: ১১২           স্তর: এস.এস.সি

 

অ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বর: ১


অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম :  সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের কাজ-কর্ম সম্পর্কিত নিবন্ধ--

 


(ক) হিন্দুধর্মের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের বর্ণনা:

বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে সনাতন ধর্ম তথা হিন্দুধর্ম একাধারে প্রাচীন এবং নবীন। 

প্রাচীন একারণে যে, সনাতন ধর্ম তার সনাতন ঐতিহ্য এখনো বজায় রেখেছে। আর নবীন এ কারণে যে, সনাতন ঐতিহ্য বজায় রেখেও এ ধর্ম যুগের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলছে। হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে কোনো একক ব্যক্তিবিশেষকে চিহ্নিত করা যায় না।

 

 এ ধর্মের মূলে রয়েছেন ভগবান স্বয়ং। সৃষ্টির আদিকাল থেকে এ ধর্মমতের পরিচয় পাওয়া যায়। দীর্ঘ যাত্রাপথে ধর্মের মূলতত্ত্বকে ঠিক রেখে নতুন নতুন ধর্মীয় চিন্তা গ্রহণ করে এ ধর্ম ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে। 


সিন্ধু সভ্যতার মহোঞ্জোদারো ও হরপ্পার নিদর্শন থেকে হিন্দুধর্মের কিঞ্চিৎ পরিচয় ও ধারণা পাওয়া যায়। আর্যরা যখন পূর্ব ইউরোপ থেকে ভারতে আসে তখন তাদের নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি ছিল।

 

 এদেশের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আর্য সভ্যতার সংঘর্ষ এবং পরিণতিতে সিন্ধুসভ্যতার সাথে আর্যসভ্যতার একটা সমন্বয় ঘটে। এর ফলে হিন্দুধর্মের চর্চার সাথে আর্যদের ধর্মবিশ্বাস মিলিত হয়ে একটা নতুন রূপ লাভ করে।


 কালক্রমে এটি আর্যধর্ম হিসেবে প্রাধান্য লাভ করে। এখান থেকেই সনাতন ধর্ম নতুন রূপ লাভ করে। আর্যগণ সিন্ধু নদের বসবাস করতে শুরু করেন। আফগান ও পার্সিক সম্পদ্রায় সিন্ধুনদকে হিন্দুনদ বলে উচ্চারণ করত।


তাদের উচ্চারিত সিন্ধুর 'স' পরিবর্তিত হয়ে 'হ'-তে রূপ নেয় এবং সিন্ধু শব্দটি হিন্দু বলে উচ্চারিত হতে থাকে।

তাই অনেক গবেষকদের মতে সিন্ধু নদের তীরবর্তী লোকদের ধর্মই হিন্দুধর্ম বলে আখ্যায়িত হয়। সনাতন ধর্ম ক্রমে হিন্দুধর্ম নামে পরিচিত হতে থাকে। তবে যুগের পরিক্রমায় সনাতন ধর্মের চিন্তা-চেতনায় নতুনত্বের সংযোজন ঘটে।

 

 

(খ) হিন্দুধর্মের বিশ্বাসের তাৎপর্য

প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব ধ্যানধারণা ও বিশ্বাস রয়েছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম হিসেবে সনাতন তথা হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। হিন্দুধর্ম চিন্তায় ও বিশ্বাসে এর বিভিন্ন ধরণের তাৎপর্য পাওয়া যায়। নিম্নে কয়েকটি তাৎপর্য উল্লেখ করা হলো---

 

১। একেশ্বরবাদ: ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। এই বিশ্বাসই হলো একেশ্বরবাদ হিন্দুধর্ম বিশ্বাস করে এক ঈশ্বরই এই পৃথিবী তথা সমগ্র ব্রহ্মান্ডের মালিক।

 বিভিন্ন দেব-দেবী তাঁর বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ মাত্র। ঈশ্বরের সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি অতুলনীয়।

 

সৃষ্টি, স্থিতি আর লয়ের কারণও তিনি। সমগ্র ব্রহ্মান্ডের অধীশ্বরও তিনি। একমাত্র তিনিই উপাসনা পাওয়ার যোগ্য। মানুষ যেভাবে যত দেব-দেবীর উপাসনা করুক না কেন, সেই উপসনার ভক্তি মানুষকে তিনিই দিয়ে থাকেন। 

সুতরাং পরোক্ষভাবে তিনিই মূলত এই উপাসনা এবং ভক্তি পেয়ে থাকেন। হিন্দুধর্মের পরম ও চরম বিশ্বাস হলো ঈশ্বর স্বয়ং ব্রহ্মান্ডের প্রতিপালক।

 

 

২। অবতারবাদ: পৃথিবীতে যখন অধর্ম বেড়ে যায়। ধার্মিকেরা যখন অসুর প্রকৃতির দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন, তখন সাধুদের রক্ষা, দুষ্টের দমন এবং ধর্ম স্থাপন করার জন্য ঈশ্বর অবতাররূপে পৃথিবীতে যুগে যুগে আবির্ভূত হন। 

এই বিশ্বাসই অবতারবাদ। অনন্ত শক্তিধর ঈশ্বর মানুষরূপে পৃথিবীতে আসেন।

 

এই আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে তিনি সসীম হয়ে দেহ ধারণ করে এলেও তার মধ্যে ঐশ্বরিক শক্তি থাকে। তিনি মানুষের মত আচরণ করেন। সাধারণ মানুষ এসব বুঝতে পারেন না। তারা মায়ায় আবদ্ধ থাকে। ভগবান তাঁর স্বীয় উদ্দেশ্য সম্পন্ন করে আবার পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

 


৩। জন্মান্তরবাদ: হিন্দুধর্ম জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। জন্মান্তর শব্দের অর্থ অন্য জন্ম বা পরবর্তী জন্ম। কর্ম করলে তার ফল আছে। 


কর্মকারীকে সেই ফল ভোগ করতে হয়। কর্মফল ভোগ এক জন্মে শেষ না হলে পরবর্তী জন্মে তা ভোগ করতে হয়। এই ভোগের নিমিত্ত যে জন্ম তাই জন্মান্তর।

 আর এই জন্মান্তর সম্পর্কে দার্শনিক যে চিন্তা-ভাবনা তাকে জন্মান্তর বাদ বলে। গীতায় ভগবান বলেছেনবাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবান গৃহ্নাতি নরোপরাণি।

 

 তথা শরীরাণ বিহায় জীর্ণান্যানি সংযাতি নবানি দেহী। (২/২২) অর্থাৎ হে পার্থ, মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, দেহীও তেমনিই জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করেন।

আমাদের জীবদেহে যেমন বাল্য, কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্য আসে তেমনি দেহান্তর প্রাপ্তিও ঘটে। এভাবে জীবদেহের জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণই জন্মান্তরবাদ প্রক্রিয়া।

 👇👇👇👇

বিস্তারিত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখতে হলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ঘুরে আসুন...



Our YouTube Channel Link.. Two Learning

===================


If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.

Author,

#Muktar_Hossain

#30minuteeducation

#class_10_assignment_hindu_dhormo_6th_week_2022 #ssc_2022_assignment_6th_week_hindu_religion #class_10_assignment_6th_week_2022 #৬ষ্ঠ_সপ্তাহের_হিন্দুধর্ম_এসাইনমেন্ট_এসএসসি_২০২২ #twolearning



Post a Comment

0 Comments