ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে কি আপনি শঙ্কিত?
ভারতীয় ষড়যন্ত্রে যেভাবে গত একযুগ ধরে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বং*স করে
দিল আ.- লীগ----------
ইজরাইলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন নতুন মৌল আবিস্কার করে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা লাইব্রেরিতে গিয়ে প্রেম করে!
বিশ্বের ১ নম্বর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বছরে কোন কনসার্টের খবর পাওয়া যায় না।
আর আমাদের ভার্সিটিতে কত কত কনসার্ট...!
এল.আর.বি, জেমস, শিরোনামহীন, অ্যাশেজ, তাহসান, ওয়ারফেজ একটার পর একটা প্রোগ্রাম হয়। কোন একটা উপলক্ষ্য এলেই কনসার্টের আয়োজন হয়।
যেন কনসার্টের জন্যই এদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যখন বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন হয় তখন আমাদের দেশে হয় মুজিব অলিম্পিয়াড! আগামীর চেতনাজীবি তৈরি করতে সবকিছুই আয়োজন হয় "শেখ মুজিব" কে কেন্দ্র করে!
কারণ এখন বাংলাদেশ মানেই 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'।
ভিন্নদেশীয় সাংস্কৃতিক উৎসব নাচ, গান, হোলি উৎসবও হয় এখন। ফা* ইউ, হ*ট বেবি, ক্রা*শ খাইছি, মাস্তি, ই*য়া*বা, বি*য়া*র, গা*জা এই শব্দগুলো এখন ছেলে-মেয়েদের কাছে অতি পরিচিত।
===================
সফল হওয়ার কিছু ন্যূনতম টিপস কী কী?
👇👇👇👇👇👇👇👇
আসলে কি সফলতার টিপস কাজে দেয় ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা একসাথে বসে মা*দ*ক সে*বন করে। অন্যান্য দেশে জ্ঞানী মানুষরা, বিজ্ঞানীরা কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বেশ কয়েকবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেটে অংশগ্রহণ করেন। আর আমাদের দেশে?
বিজ্ঞানী মকসুদুল আলম কয়টা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যেতেন? আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম কয়টি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যান?
(যিনি ব্যাক্টেরিয়া শনাক্তকরণের সেন্সর তৈরি করেছেন. যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নাল এ তার গবেষণা ছাপা হয়েছে) বা ‘জিন’ ত্রুটি নির্ণয়ে অভাবিত সাফল্য অর্জন করেছেন বাংলাদেশের যে তিন গবেষক।
তারা হলেন— ডা. কে এম ফোরকান উদ্দিন ও ডা. মোঃ রোবেদ আমিন ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান বৈজ্ঞানিক ডক্টর মোহাম্মদ উদ্দিন ড্যাফিল।
তারাও কি ভার্সিটির কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাবেন? তাদেরকে কি বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হবে?
তাদের কাউকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকবে না। কারণ- নাইলা নাঈম আর সালমান মুক্তাদিরদের দাম এখানে বেশি অথবা দা*লা*লী আর দা*স*ত্বের বীজ বহনকারী মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবীরা - যারা এদেশের মানুষকে দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখতে চায়।
আবদুল হামিদ নামের আরেকজন জনগণের ভোটহীন সরকারের রাষ্ট্রপতি আছেন যার কাজই হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে ভাড়ের মতো লোক হাসানো।
আজকে চীন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হতে যাচ্ছে। ইন্ডিয়া আইটি সেক্টরে ডমিনেট করছে। তাদের ছেলে মেয়েরা গুগলে কাজ করে।
আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা মাস্তি করে আর মেয়েরা হিন্দি সিরিয়াল দেখে সময় পার করে।
ভারত যখন বসে বসে সিইও তৈরি করে আমরা তখন বসে বসে ক্যাম্পাসে ক্যাডার তৈরি করি।
আমেরিকা যখন নতুন নতুন ফাইটার জেটের নকশা করে, তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন প্রতিরক্ষা-নিরাপত্তা মেলার আয়োজন করে আমরা তখন ক্যাম্পাসে মিথিলার - তাহসান ডিভোর্স নিয়ে আন্দোলন করি, সিঙ্গেল পরিষদ, কাপল পরিষদ গঠন করি এবং ইউটিউবে লুল ভিডিও দেখি।
মায়ানমার যখন প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত থেকে খনিজ সম্পদ আহরণের যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে - তখন আমাদের ছেলেমেয়েরা বোটানিক্যল গার্ডেনে বসে প্রেম করছে। আমাদের দেশে প্রেমের নাটক করে হিট হওয়া ছেলেটা হলো বড় সেলেব্রেটি। আর ময়দা সুন্দরী হচ্ছেন হ*ট কেক।
এখানে লাইব্রেরিতে গিয়ে অন্তরঙ্গ হওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার জোরে না হয়ে রাজনৈতিক কোটায় শিক্ষক নিয়োগ হয়।
আর এই রাজনৈতিক কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারদলীয় লেজুড়বৃত্তি সংগঠনের শিক্ষকেরা ছাত্রীদের যৌ*ন হয়রানি কিংবা অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েও রাজনৈতিক প্রভাবে পার পেয়ে যায়।
পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন শিক্ষকদের নোংরা রাজনীতি দেখতে পাবেন না। সদ্য বিদেশ ফেরত আমাদের এক শিক্ষক বলেছিলেন, ওদের দেশে কলেজ লেভেলের ছেলে মেয়েদের যে দক্ষতা আমাদের দেশে মাস্টার্স পাস করা ছেলেমেয়েরাও এতোটা ক্রিয়েটিভ এবং দক্ষ হয় না।
আমরা মাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ১০০ টির বেশি ভারতীয় টিভি চ্যানেল (আমাদের একটা চ্যানেলও ভারতে দেখানো হয় না) সংযোগ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছি----অফিস টাইমে কিভাবে মেয়ে প*টাতে হয়।কিভাবে বেস্ট ফ্রেন্ডকে প্রপোজ করতে হয়।
কিভাবে বন্ধুর গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ফ্লার্ট করতে হয়।কেন বাংলাদেশ থেকে গবেষক তৈরি হয় না?কেন আমরা ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাই না? কেন আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কোন সেলেব্রেটি নাই? প্রেম করার জন্য বার আছে, সী বিচ আছে, লং ড্রাইভ আছে---।
বিশ্ববিদ্যালের লাইব্রেরিতো প্রেমের জায়গা না! হিন্দি চ্যানেল দেখার জায়গা এটা নয়! সবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় হলো সক্ষমতা অর্জনের জায়গা। মায়ানমার ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে, ভারত- আসাম থেকে ৮০ লাখ বাঙালি মুসলিমদের আমার দেশে ঢুকিয়ে দেয়ার আয়োজন করছে! ভারত পারমাণবিক বোমা বানালে - আমরা কি হাইড্রোজেন বোমা বানাবো কি না?
কিভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িকতা ও আধিপত্যবাদ হতে মুক্তি পাব? চীনের সাথে আমাদের প্রতিরক্ষানীতি কেমন হবে?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে- মেয়েদের এসব বিষয়ে ধারণা না থাকলেও- প্রশ্ন আউট করে পরীক্ষায় Golden A+ পাওয়া, ইন্টারনেটে সারারাত গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ডুবে থেকে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার পাঁয়তারা আধিপত্যবাদীরা ঠিকই ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে!
বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ১০০% গোল্ডেন এ প্লাস উপহার দিবে।আর কি চাই! এ প্লাস গুলিয়ে পাঁচ টাকার চা সিংড়া খেতে খেতে ৭১ এর চেতনার ইন্ডাস্ট্রি খুলে বসবে।
'প্রেম না করলে এদেশে সে স্টুডেন্ট ব্যাকডেটেড এন্ড আনস্মার্ট '।
এই স্বপ্নেই কি দেশ স্বাধীন করেছিলো মুক্তিযোদ্ধারা, এই জন্যই কি সালাম, জব্বার,রফিকরা বাংলা ভাষার জন্য প্রান দিয়েছিলো.?
আমরা কেনো রোহিঙ্গা, হি*জড়া, কাপুরুষ, মূর্খ জাতীতে পরিণত হচ্ছি.!
ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ
=====-------------------====
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#muktarhossain
#30minuteeducation
#twolearning #futureinbangladesh #educationbd #টুলার্নিং #two #learning #2learning #voiceofmuktar
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.