একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট
পৌরনীতি উত্তর ৭ম সপ্তাহ
মাধ্যমিক ও উচ্চ
শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা
২০২২
সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
বিষয়: পৌরনীতি ও সুশাসন
পত্র : দ্বিতীয় বিষয় কোড: ২৭০ স্তর: এইচএসসি
অ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বর: ৪
অ্যাসাইনমেন্ট
শিরোনাম :
বাঙালি
জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব মূল্যায়ন
(ক) ভাষা আন্দোলন ও
যুক্তফ্রন্ট
ভাষা আন্দোলন
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলার জনগণের স্বাধিকার আদায়ের পদক্ষেপের সূচনা হয়।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট
পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই পূর্ব বাংলার জনগণের সাথে
পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু হয়।
প্রথমে পশ্চিমা শাসক গগাষ্ঠী বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে। তারা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চায়।
১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার পল্টন ময়দানে ঘোষণা করেন “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা”।
এ ঘোষনার পর পূর্ব বাংলার ছাত্র-জনতা
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য তারা সর্বদলীয় সংগ্রাম
পরিষদ গঠন করে।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন পূর্ব বাংলার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে খাজা নাজিমউদ্দিন জিন্নাহর কথার পুনরাবৃত্তি করেন।
ফলে
ছাত্র-সমাজ তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ১৯৫২ সালের ২১
ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ব পাকিস্তানে ধর্মঘট আহবান ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
পুলিশ ছাত্রদের মিছিলের উপর গুলি চালায়।
পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, সফিউর, জব্বারসহ কয়েকজন শহীদ হন। হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ব বাংলা। শুরু হয় মাতৃভাষার অধিকার আদায় ও বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম।
অবশেষে বাঙালি জাতি বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করে। ভাষা আন্দোলন বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলন হলেও এর রাজনৈতিক ও সামাজিক তাৎপর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল স্থান দখল করে আছে। জাতিসংঘ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুক্তফ্রন্ট
১৯৫৪ সালের নির্বাচন ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম', এ নির্বাচনের ফলে ভাষা আন্দোলনে সৃষ্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদ সুদৃঢ় হয় এবং রাজনৈতিক স্বীকৃতি অর্জন করে।
আর এ জাতীয়তাবাদী চেতনার ফসল হচ্ছে আজকের স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশ। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের
জনগণের প্রতি বিমাতা সূলভ আচরণ শুরু করে।
ফলে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নানাভাবে ব্যাহত হয়। পূর্ব বাংলার জনগনের মধ্যে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠে।
১৯৪৬ সালের পর ১৯৫১ সালে প্রদেশগুলোতে
নির্বাচন হবার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী পশ্চিম পাকিস্তানের
প্রদেশগুলোতে নির্বাচন দিলেও পূর্ব বাংলাতে নির্বাচন দেয়নি।
এর
কারণ মুসলিম লীগের সম্ভাব্য পরাজয়ের ভয়। ১৯৪৮- ৪৯ সালে কয়েকটি উপনির্বাচনে
পরাজয়ে তাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল।
১৯৫৪
সালে পূর্ব বাংলায় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক,
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ২১ দফা
কর্মসূচির ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট গড়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগ, কৃষক প্রজা পার্টি, নেজামে ইসলাম
এবং গণতন্ত্রী দল একজোট হয়ে ২১ দফা কর্মসুচিকে নিয়ে নির্বাচনে মুসলিম লীগের
বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধিতা করে।
(খ)
৬ দফার সবগুলো দফা যথাযথ উপস্থাপন
If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.
Author,
#Muktar_Hossain
#30minuteeducation
#Class_11_7th_Week_Civics_and_citizenship_Assignment_Answer #hsc_2022_7th_week_assignment #পৌরনীতি_এসাইনমেন্ট_এইচএসসি_২০২২_৭ম_সপ্তাহ #twolearning #HSC_2022_ Civics_assignment_7th_week


0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.